পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের মারধর, গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২ এর পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দোগাছী ইউনিয়নের লাছিপাড়া গ্রামের আয়ুব খানের অটো গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তড়িতাহত হয়।

বিষয়টি জানার পর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে দায়ী করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।
এর কিছু সময় পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে শ্রীপুর সাব-জোনাল অফিসের দুই লাইনম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল-কাফি ও মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন। তারা ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ এলাকা অতিক্রম করার সময় চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং লাইনম্যান আব্দুল্লাহ আল-কাফিকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। এ সময় তার চোখ, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। লাইনম্যানের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। যাওয়ার সময় তিনি শ্রীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের ‘দেখে নেওয়া’ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত লাইনম্যান আব্দুল্লাহ আল–কাফিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ মুঠোফোন জানান, পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের থাপ্পর মারার স্বীকার করে বলেন দোগাছি পূর্ব পাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট জাহাঙ্গীর আলম নামে একটি ছেলে মারা যায়। সেখানে গিয়ে দেখি অটোরিকশা গ্যারেজের ইলেকট্রিসিটি লাইনে এত সমস্যার মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ বাণিজ্যিক মিটার কিভাবে সরবরাহ করে। এটা কি পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালি পোনা নয়। এই দায়ভার কে নেবে।
সেখান থেকে ফেরার পথে দুইজন লাইনম্যানের সাথে আমার দেখা হয়। আমি তাদের এক জনকে একটি থাপ্পড় মেরে বলি এই রাস্তা দিয়ে যাসনি এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মব জাস্টিস তৈরি করে বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। তাছাড়া কোন কিছুই তাদের সাথে হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।