পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি মাদ্রাসার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংস্কার ফান্ডের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী সমর্থক মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাহবুবুল আলম উপজেলার চরছলিমপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ঐ মা্দ্রাসার সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।
গতকাল সন্ধায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাদ্রাসা কমিটির পরিচালক, শিক্ষক ও স্থানীয়রা এমন অভিযোগ করে বলেন ২০১৭ সালে চরছলিমপুর গ্রামের কদিমপাড়া এলাকায় কদিমপাড়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় মাহমুদ হোসেন শাহজাহান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা তিন বছর তিনিই পরিচালকের দায়িত্ব পালনের সময় মাহবুবুল আলম মাদ্রাসার উন্নয়ন সহায়তায় একটি বিল্ডিং নির্মানের কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচালকের নিকট থেকে মাদ্রাসা সংস্কারের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
মাদ্রাসা পরিচালক মাহমুদ হাসান শাহজাহান দিশেহারা হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে। প্রতারক মাহবুবুল আলম টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো তাকে আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীর নাম ভাঙ্গিয়ে ও জঙ্গি বলে পুলিশে ধরায়ে দিবে বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। মাদ্রাসা কমিটির লোকজন থানায় এসে এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলেও থানায় মামলা নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা পরিচালক।
এদিকে স্থানীয় বিএম তোফায়েল আহমেদ নামে আরেকজনের কাছ থেকে জমি বিক্রয় বাবদ ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে বিভিন্ন হয়রানি ও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু এগুলোই নয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার ও নিজেকে ডাচবাংলা ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দাবী করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এই মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানা পরিদর্শক তদন্ত মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা কমিটি ও ভুক্তভোগীরা যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।