পাবনার চাটমোহরে ঘাস কাটতে গিয়ে পুকুরপাড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম হোসেন (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে একইভাবে প্রাণ গেছে পুকুরের মালিক মৎস্য ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামের (৪৫)।
গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোনো এক সময় মারা যান শামীম। আর শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মৃত্যু হয় হামিদুলের। খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত হামিদুল চাটমোহর উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে। আর শামীম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার জামতৈল গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি চাটমোহরের একই ইউনিয়নের কৈনুরা গ্রামে তার নানা শাজাহান আলীর বাড়িতে থাকতেন।
চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল শনিবার রাত আটটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল দশটার দিকে শামীম তার নানার বাড়ি থেকে বিলে ঘাস কাটার উদ্দেশ্যে বের হয়। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
নিহত হামিদুলের স্বজনদের বরাত দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, হামিদুল বাড়ির পাশে পুকুরে মাছের চাষ করতেন। মাছ চুরি রোধে কৌশলে পুকুরপাড় দিয়ে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন। শামীম ওই পুকুরের পাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে অসাবধনতাবশত: সেখানে থাকা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। শনিবার সন্ধ্যার কিছু আগে নিজের পুকুর দেখতে গিয়ে শামীমের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করতে যান হামিদুল। এ সময় তিনিও একইভাবে সেখানে বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।
হামিদুলের ছেলে তানজিদ হোসেন বলেন, ‘শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমি গিয়ে দেখি আব্বা পুকুরপাড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আর শামীমের লাশ পুকুরের পানিতে ভাসছে। পরে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে। আর আগামীকাল রোববার (২৪ অক্টোবর) পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।