প্রতি বছর প্রায় ৫.৪ মিলিয়নের বেশি বিষাক্ত সাপের কামড়ের ঘটনা সারা পৃথিবীতে ঘটে থাকে। বর্ষাকালে সাপের আবাস্থল ডুবে গেলে ওরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ে উঠে আসে। তাই বর্ষাকালে আমাদের দেশে সাপে কাটার ঘটনা বেড়ে যায়। বাংলাদেশে যত প্রজাতির সাপ রয়েছে তার মাঝে মাত্র কয়েকেটি সাপ রয়েছে বিষাক্ত, যার কামড় খুবই বিপজ্জনক। আবার নির্বিষ সাপে কামড়ও কখনো কখনো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে পরিস্থিতির কারনে।
সাপে কামড়ালেই প্রথমে যেটা করা উচিত তা হল সেই জায়গাটা কে ভালো করে ধুয়ে ফেলা, আক্রান্ত জায়গাটাকে বেশি নাড়াচাড়া না করা, রোগীকে মানসিক ভাবে শান্ত রাখা, সাহস দেওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নেয়া । সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে রোগীকে প্রানে বাঁচানো এবং অন্যান্য জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।
বিষাক্ত সাপের কামড় চিহ্নিতকরন:
মুলত সাপের কামড়কে চিহ্নিত করতে পারা যায় কিছু সাধারণ লক্ষনের মাধ্যমে। যেমন- ক্ষত স্থানে দুটো ছিদ্র দেখা যাবে। ক্ষত স্থানে ফোলা ও লাল ভাব থাকবে ও ক্ষত স্থানে ব্যথা থাকবে। রোগীর শ্বাসকষ্ট থাকবে, বমি ও মাথাঘোরা থাকবে। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসবে ও ঘাম হবে । অতিরিক্ত লালা নিঃসরন হবে এবং মুখ ও অন্যান্য অঙ্গে অসাড়তা দেখা যাবে।
সাপে কামড়ালে কি করবেন:
১. কামড়ের সময়টা খেয়াল রাখতে হবে
২. শান্ত থাকতে হবে এবং কামড়ের জায়গা টা নাড়াচাড়া করা যাবে না, যাতে করে শরীরের অন্য অংশে বিষ ছড়িয়ে না পড়ে।
৩. কামড়ের জায়গা টা ফুলে ওঠে, তাই ক্ষতস্থানের ওপর চেপে বসে এরকম কাপড় বা কোনো অলংকার রাখা যাবে না
৪. রোগীকে হাঁটতে দেওয়া যাবে না।
৫. সাপটিকে মারার বা ধরার চেষ্টা করার দরকার নেই। পারলে একটা ছবি তুলে রখা যেতে পারে। সাপকে খোঁজার জন্য সময় নস্ট করার প্রয়োজন নেই।
সাপে কামড়ালে কি করবেন না:
১. কামড়ের জায়গার ওপরে কাটা ছেঁড়া করা যাবে না
২. ক্ষতস্থানে ঠান্ডা বা কোল্ড কম্প্রেস দেওয়া যাবে না
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোগীকে কোনো ওষুধ দেওয়া যাবে না
৪. ক্ষতস্থান টা রোগীর হৃদপিণ্ডের অবস্থানের ওপরে কোনোভাবেই রাখা যাবে না।
৫. ক্ষতস্থান থেকে মুখ দিয়ে বিষ টেনে বার করার চেষ্টা একেবারেই করা উচিৎ নয়
বাংলার সবচেয়ে বিষধর সাপগুলি কি কি?
বিষাক্ত সাপ যদি চিনতে পারা না যায় এবং নির্বিষ ও বিষাক্ত সাপের ভেতর যদি পার্থক্য করা না যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে সমস্যা হয়, তাই সমস্ত সাপের কামড়কেই বিষাক্ত সাপের কামড় মনে করেই চিকিৎসা শুরু করা হয়। আমাদের দেশে মাত্র চারটি সাপের কামড়ে সাধারনত বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তা হলো-
১) গোখরো ( Spectacled cobra//Indian Cobra )
২) কেউটে (Monocled cobra )
৩) চন্দ্রবোড়া (Russell’s viper )
৪) কালাচ (Common krait )
এছাড়া আছে মারাত্মক বিষধর শাঁখামুটি, কিন্তু তা নিয়ে আমাদের চিন্তার কিছু নেই। কারণ শাঁখামুটি এতোই শান্ত যে, ওর কামড়ে মৃত্যুর কোনো ইতিহাস নেই । আমাদের এলাকার বাকি আর কোনও সাপ থেকে মৃত্যুভয় নেই।
১. গোখরো (Spectacled Cobra /Indian Cobra):
এটি ফণাযুক্ত সাপ। গায়ের রঙ বাদামী। ফনার পিছনে গোরুর খুরের আকৃতির ছাপ থাকে। উত্তেজিত হলে বা ভয় পেলে ফনা তুলে হিস হিস শব্দ করতে থাকে। মাঠে–ঘাটে, চাষের জমিতে এবং বাড়িতে কোথাও ফসল জমা করা থাকলে সেখানে এদের বেশি দেখা যায়। সাধারণত রাতের বেলাতেই এদের বেশি দেখা যায়। এরা গ্রাম বাংলায় খরিস, দুধ খরিস, পদ্ম খরিস ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
গোখরোর বিষ “নিউরোটক্সিন”এবং “কার্ডিওটক্সিন” প্রকৃতির। গোখরোর বিষ স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে বলে কামড়ের কিছুক্ষন পরেই পেশীর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারপরে শ্বাসকষ্ট এবং হৃদপিণ্ডের ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষত অঙ্গে পচন শুরু হয় এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা না শুরু হলে ৪ —৬ ঘন্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়।
কামড়ের জায়গায় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা হয়। ক্ষতস্থান থেকে রক্তরস চুঁইয়ে রক্তরস পরে এবং যন্ত্রণা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্নায়ুকে অকেজো করে দেয় বলে কিছু পরে যন্ত্রনা আবার কমে যায়।
২. পদ্ম গোখরা/কেউটে (Monocled Cobra)
এদের শরীরের রঙ ধূসর কালো। ফনার পেছনে একটা চোখের মতো বা পদ্মের মত চিহ্ন আছে। এরাও সাধারণত রাতে বের হয়। জলা জায়গা, কৃষি জমি, শস্য খামারে এদের দেখা যায়।
কেউটের বিষ “নিউরোটক্সিন”এবং “কার্ডিওটক্সিন” প্রকৃতির। গোখরোর বিষ স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে বলে কামড়ের কিছুক্ষন পরেই পেশীর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারপরে শ্বাসকষ্ট এবং হৃদপিণ্ডের ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষত অঙ্গে পচন শুরু হয় এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা না শুরু হলে ৪ —৬ ঘন্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়।
কামড়ের জায়গায় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা হয়। ক্ষতস্থান থেকে রক্তরস চুঁইয়ে রক্তরস পরে এবং যন্ত্রণা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্নায়ুকে অকেজো করে দেয় বলে কিছু পরে যন্ত্রনা আবার কমে যায়।
৩. কালাচ (Common krait )
গায়ের রঙ কালো। মাথার অংশটা বাদে সারা শরীরে সাদা সরু আড়াআড়ি দাগ থাকে। এর কামড়ের জায়গা টা অসাড় হয়ে যায়, ফলে কোনো জ্বালা যন্ত্রণা হয় না, তাই এর কামড় বড় বিপদ ডেকে আনে। এর কামড় ১০০% বিপজ্জনক। সময়মতো অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন না নিলে মৃত্যু অনিবার্য। গ্রাম বাংলায় এই সাপটি কালচিতি, ডোমনাচিতি, শিয়রচাঁদা, শঙ্খচিতি নামেও পরিচিত।
কালাচের বিষও তীব্র স্নায়ুবিষ বা নিউরোটক্সিন।এই প্রকারের বিষ হওয়ার কারনে গায়ে হাত পায়ে ও গাঁটে ব্যথা হয়। যদিও জ্বালা যন্ত্রণা থাকে না। মাথাঘোরা, বমিভাব, তলপেটে ব্যথা, চোখের পাতা বন্ধ হয়ে থাকে (শিবনেত্র), মুখ পুরো খুলতে না পারা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হয়।
এই সাপ ফনাহীন। এর কামড়ে যেহেতু ব্যথা/জ্বালা, ফোলা হয় না, তাই অনেক সময়ই রোগীর বাড়ির লোককে ডাক্তারবাবুর পক্ষে বোঝানো সম্ভব হয় না যে রোগীকে সাপে কামড়েছে।
৪. চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper)
এই সাপের দেহটা মোটা হয়ে থাকে। গায়ের রঙ বাদামী বা হলদে বাদামী হয়ে থাকে এবং সারা গায়ে গাঢ় বাদামী রঙের গোল গোল দাগ থাকে। মাথাট চওড়া ও তিনকোনা হয়। ঝোপঝাড়, পাথুরে অঞ্চল, কৃষিজমিতে এদের দেখা যায়। এটি তীব্র বিষযুক্ত। এই সাপের কামড়ের পরে খুব দ্রুত রোগীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া প্রয়োজন।
৫. শাঁখামুটি
এদের শরীর তিনকোনা হয়। সারা গায়ে উজ্জ্বল কালো হলুদ ডোরা কাটা দাগ থাকে। এরা কালাচ ও চন্দ্রবোরা সাপকে খেয়ে নেয়, ফলে যেখানে শাঁখামুটি থাকে সেখানে চন্দ্রবোরা ও কালাচ থাকে না। এই সাপ শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের বিষও নিউরোটক্সিন।
সাপের কামড়ের থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:
সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে যা করতে হবে তা হলে-
১. সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম উপায় হল সাপ সংক্রান্ত কাজে জড়িত না থাকা এবং বনে জঙ্গলে ঘুরে না বেড়ানো।
২. যেসব জায়গায় সাপেরা লুকিয়ে থাকতে ভালোবাসে, যেমন – ঝোপঝাড়, ভিজে কাঠের বোঝা, শস্য খামার ইত্যাদি জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে বা সাবধানে চলা ফেরা করতে হবে।
৩. হঠাৎ করে কোনো সাপের সম্মুখীন হয়ে গেলে নিজে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, সাপটাকে তার নিজ্ব্র মতো চলে যেতে দেওয়ার সময় দিতে হবে।
৪. বাড়ির চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৫. রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙ্গিয়ে শোবেন। (মেঝেতে ঘুমালে মশারি বাধ্যতামূলক)
৬. মাটিতে বা খোলা উঠানে কোন মতেই ঘুমানো যাবে না।
৭. অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না, রাতের বেলায় বেরোলে আলো নিয়ে বেরোতে হবে। একান্তই বাধ্য হলে হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে চলুন, হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই।
৮. জুতো পরার আগে তা ঝেড়ে নিন।
৯. সাপ থাকতে পারে এমন জায়গায় যদি কাজ করতে হয় তাহলে লম্বা পা ঢাকা গামবুট, পা ঢাকা প্যান্ট ও চামড়ার গ্লাভস পরতে হবে। সম্ভব হলে ঝুকিপুর্ন স্থানে গামবুট ব্যবহার করুন।
১০. মাটির বাড়িতে কোনও ইঁদুর গর্ত থাকলে তা আজই বুজিয়ে ফেলুন।
জেনে রাখুন, সাপ থেকে রক্ষার জন্য তাবিজ কবজ মাদুলি আংটি কোনও কাজের নয়। এমন কি “ঘরে কার্বোলিক এসিড রাখলে সাপ আসবে না” এই কথারও কোনো সত্যতা নেই বিজ্ঞানে। একমাত্র সচেতনতা ও সাবধানতাই সাপের কামড় থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।
সাপের কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসাঃ Do R_I_G_H_T
R- Reassurance
রোগীকে আশ্বস্ত করুন। কারণ রোগী খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। আতঙ্কও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। রোগীকে বোঝান, সাপের কামড়ে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিৎসায় বেঁচে উঠেছেন, আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
I – Immobilization
যত কম নড়াচড়া হবে তত কম হারে বিষ সারা শরীরে ছড়াবে। স্কেল বা বাঁশের টুকরো সহ হাতে/ পায়ে (যে অংশে কামড়াবে) কাপড় দিয়ে হাল্কা করে বেঁধে দিন। হাত বা পা (কামড়ের নিকটতম স্থান) যাতে তিনি ভাঁজ করতে না পারেন তাই এই ব্যবস্থা ।
GH – Go To Hospital
ফোন করে জেনে নিন আপনার নিকটতম যে হাসপাতালে
১) A.V.S ,
২) নিওস্টিগমিন
৩) অ্যাট্রোপিন এবং
৪) অ্যাড্রিনালিন
আছে সেই হাসপাতালে চলুন। মাথায় রাখবেন সাপের কামড়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা একটি ব্লক প্রাইমারী হেলথ সেন্টারেই সম্ভব। সম্ভব হলে রোগীকে মোটর সাইকেলের মাঝে বসিয়ে রোগীর সাথে কথা বলতে বলতে চলুন। জেনে রাখবেন এখানে সময়ের ভূমিকা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
T- Tell Doctor for Treatment
হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকে সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে বলুন। কথা বলতে গিয়ে রোগীর কথার মধ্যে কোনও অসঙ্গতি (যেমন কথা জড়িয়ে আসা, নাকি সুরে কথা বলা খেয়াল করলে তা যথাযথ (কতক্ষন আগে শুরু হল) ভাবে চিকিৎসকে জানান।
RULE OF 100
সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার AVS শরীরে প্রবেশ করলে রোগীর বেঁচে যাবার সম্ভাবনা ১০০%।
কিভাবে বুঝবেন রোগীকে বিষাক্ত সাপে কেটেছে এবং হাসপাতালে নিতে হবে :
১) দু চোখের পাতা পড়ে আসা (সব সাপের কামড়ের মূল লক্ষণ )
২) কামড়ের স্থানে অসম্ভব জ্বালা যন্ত্রণা (ফণাধর সাপের ক্ষেত্রে)
৩) ক্রমবর্ধমান ফোলা
৪) শরীরের নানা স্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসবে (চন্দ্রবোড়ার ক্ষেত্রে)
৫) ঢোঁক গিলতে অসুবিধে
৬) ঝাপসা দেখা
৭) জিভ জড়িয়ে আসা
৮) ঝিমিয়ে পড়া
চিকিৎসায় দেরি হলে শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাস ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু।
*এশিয়ার বিষাক্ততম সাপ কালাচ এর কামড়ে কোনও জ্বালা যন্ত্রণা থাকে না, দংশন স্থানে কোনও চিহ্ন পাওয়া প্রায় যায়ই না। পেটে ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা, খিঁচুনি কিংবা শুধুমাত্র দুর্বলতা অনুভব করার লক্ষনের সাথে দুচোখের পাতা পড়ে আসা নিশ্চিত কালাচের কামড়ের লক্ষণ।
চিকিৎসা:
বিষক্রিয়া নিশ্চিত হলে ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করবেন। এক্ষেত্রে-
* কোন স্কীন টেস্ট ছাড়াই (যা ২০১০সালে WHO র নির্দেশিকায় বাতিল হয়ে গেছে) শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই ৪ ভাগের ১ভাগ অ্যাড্রিনালিন ইনজেকশন চামড়ার তলায় দিয়ে শিরা ফুঁড়ে স্যালাইনের সাথে ১০ভায়াল AVS এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শরীরে প্রবেশ করাবেন।সাথে অবশ্যই দেবেন নিওস্টিগমিন এবং অ্যাট্রোপিন (ফণাধর নার্ভবিষ গোখরো ও কেউটের ক্ষেত্রে এই দুই ইঞ্জেকশন দিতেই হবে)
* কোনও অবস্থাতে রোগীকে রেফার করতে হলে ১০ ভায়াল AVS, নিওস্টিগমিন এবং অ্যাট্রোপিন না দিয়ে রেফার করা যাবে না ।
* AVS দিলে ৭০%ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (শ্বাসকষ্ট, শরীরে আমবাতের মত দেখতে পাওয়া ইত্যাদি) হয় যাকে সাময়িক স্যালাইন বন্ধ করে ইনজেকশন সিরিঞ্জে ধরে রাখা ০.৫m.l আড্রিনালিন দিয়ে সফলভাবে মোকাবিলা সম্ভব।
* চন্দ্রবোড়ার কামড়ে চিকিৎসায় দেরী হলে ডায়ালেসিস এর প্রয়োজন হয়।
আসুন সকলে মিলে সাপের কামড় এড়াবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি, সাপে কামড়ালে রোগীকে সাপের কামড়ের চিকিৎসা হয় এমন নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে চলি এবং সাপের কামড় সহ সমস্ত সঠিক চিকিৎসা বিনামুল্যে মানুষ যাতে পায় তার দাবী জানাই।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে লেখাটি শেয়ার করুন এই বর্ষায়।
সাপ বা বন্যপ্রানী সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে : Nature and Wildlife Conservation Community (NWCC)
সভাপতি, NWCC : 01711 316919
সা.সম্পাদক, NWCC: 01719 478023
(*এখানে ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক ও মেডিক্যাল সাইন্সের বিবরণ সমূহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য সুত্র থেকে পাওয়া )
লেখা: হাসান মাহমুদ, আলোকচিত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক, নেচার এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন কমিউনিটি