পাবনা সদর উপজেলায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদহ এলাকার একটি মাঠে কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক ডক্টর জামাল উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পাবনার অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোঃ রোকনুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ অন্যান্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এবং কৃষকগণ।
উপজেলা কৃষি অফিসার জানান,উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকের ৪০ একর জমিতে এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় বীজ সহায়তার মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে প্রকল্প থেকে সরবরাহকৃত অটোমেটিক বীজ বপন যন্ত্রের মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদে প্রথম পর্যায়ে ট্রেতে বীজ বপনের মাধ্যমে চারা তৈরী করা হয়, যন্ত্রের সাহায্যে চারা তৈরি পাবনা সদর উপজেলায় এবারই প্রথম। পরবর্তীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপন করা হয়।
তিনি আরো জানান, কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ১ একর জায়গার ধান ১ ঘন্টায় কাটা সম্ভব এবং এতে কৃষকের খরচ হবে ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা, যেখানে গতানুগতিক পদ্ধতিতে ১ একর জমির ধান কাটা থেকে মাড়াই পর্যন্ত ৫ জন লোকের প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে এবং খরচ হবে প্রায় ২০০০০ টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫০ % ভর্তুকীতে বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের প্রদান করার ফলে যেমন সময়, শ্রম এবং টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব করা হয়েছে, এতে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে, দেশের কৃষি সেক্টর তেমন যান্ত্রিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই তৈরি হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ।