পাবনার সুজানগরে মাদ্রাসার মাঠ তৈরীর নামে সরকারি জোলা ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। আর ওই জোলা ভরাট করতে ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে স্থানীয় পদ্মা নদী থেকে। এতে ভাঙনের হুমকির মুখে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামে অবস্থিত নওয়াগ্রাম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার মাঠ তৈরী করে দিতে পার্শ্ববর্তী খন্দকারের জোলা ভরাট করা হচ্ছে। আর এই জোলা ভরাট করতে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জোলা ভরাট করলে পানি নিষকাশন হতে পারবে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। সেইসাথে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙনে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্তত ৪টি বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান এই অবৈধ কাজে জড়িত। তিনি স্বেচ্ছাচারিতাভাবে মাদ্রাসার মাঠ তৈরীর নামে সরকারি জোলাটি ভরাট করছেন। তাও আবার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। চেয়ারম্যান মুলত বালুর ব্যবসা করার জন্য তিনি জায়গা দখল করার অপচেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, এটি মাদ্রাসারই জমি। এজন্য আমরা ভরাট করে মাঠ তৈরী করছি। যেটি জোলা বলা হচ্ছে সেটি আরেকটু দূরে। উপজেলা থেকে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেটি দিয়ে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। আমি খোঁজ নিচ্ছি। যদি অবৈধ কোনোকিছু হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা থেকে বরাদ্দের বিষয়টি জানা নেই।