রবিবার, জুন ১, ২০২৫
-CholtiBarta
No Result
View All Result
  • সর্বশেষ
  • পাবনা
    • পাবনা সদর
    • ঈশ্বরদী
    • আটঘরিয়া
    • চাটমোহর
    • ভাঙ্গুড়া
    • ফরিদপুর
    • বেড়া
    • সাঁথিয়া
    • সুজানগর
  • অপরাধ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • পরিবেশ
  • প্রযুক্তি
  • ক্যাম্পাস
  • সাহিত্য-সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • মতামত
  • আরো
    • ছবির বার্তা
    • ভিডিও বার্তা
-CholtiBarta
  • সর্বশেষ
  • পাবনা
    • পাবনা সদর
    • ঈশ্বরদী
    • আটঘরিয়া
    • চাটমোহর
    • ভাঙ্গুড়া
    • ফরিদপুর
    • বেড়া
    • সাঁথিয়া
    • সুজানগর
  • অপরাধ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • পরিবেশ
  • প্রযুক্তি
  • ক্যাম্পাস
  • সাহিত্য-সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • মতামত
  • আরো
    • ছবির বার্তা
    • ভিডিও বার্তা
No Result
View All Result
-CholtiBarta
No Result
View All Result

কে ছিলেন শহীদ এ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন, যার নামে ছিল পাবনা জেলা স্টেডিয়াম!

cholti barta by cholti barta
মে ২৩, ২০২৫
in জীবনযাপন, পাবনা, পাবনা সদর, বাংলাদেশ, রাজনীতি, সর্বশেষ
0 0
0
Home জীবনযাপন

, জানেন কি

RELATED POST

মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র করে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করতে পারবেন না: হাবিব

মধ্যরাতে আবাসিক হোটেলে যৌথ অভিযান, পাঁচ যৌনকর্মী ও চার কর্মচারীর কারাদন্ড

শহীদ এ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখাতে পাবনা আইন কলেজকে “শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন আইন কলেজ” এবং পাবনার প্রধান স্টেডিয়াম “জিন্নাহ পার্কে” এর নাম পরিবর্তন করে “শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম” নামকরণ করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর আমিন উদ্দিনকে চিরকাল দেশ এবং মানুষের কাছে অম্লান ও অমর করে রাখতে এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন এডভোকেট আমিন উদ্দিন। ১৯৭০ সালে ১৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার পুষ্পালয় বাসভবন থেকে তাঁকে আটক করেন। তারপর পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর সেনাক্যাম্পে নির্মম নির্যাতন করে ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে তাঁকে হত্যা করে (সূত্র-ঐদিন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেঁচে যাওয়া আব্দুল খালেকের জবানবন্দী)। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত প্রথম বেসামরিক প্রতিরোধ যুদ্ধে পাবনায় অবস্থানরত সমস্ত পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করা হয়। ২৯ মার্চ হতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাবনা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২৬ মার্চের পর পাবনায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। প্রথম সমস্ত পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করে হানাদার মুক্ত করার সাথে আরেকটি যোগ হয় তা হলো প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে এডভোকেট আমিন উদ্দিন শহীদ হন। ২৯ মার্চ পাবনা মুক্ত হলে বিসিক শিল্পনগরীতে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে শহিদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনের সাথে পাবনা জেলা ন্যাপের (ভাসানী) সভাপতি ডা. অমলেন্দু দাক্ষী, রাধানগর তৃপ্তিনিলয় হোটেলের মালিক ও মোটর ব্যবসায়ী সাঈদ তালুকদার সহ অনেক মানুষকে পাকিস্তান সৈন্যরা হত্যা করেছিল।

শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন নাটোর জেলার অধীন লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে ১৯২১ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উনি গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৩৮ সালে খঞ্জনপুর বিশপ মিশন স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৪০ সালে আই,এ এবং ১৯৪২ সালে বি,এ পাস করেন। তারপর আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য কলিকাতা যান। সেখানে প্রথম পর্ব শেষ করে ঢাকায় আসেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি পাস করে ঢাকা হাইকোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবি হিসেবে যোগ দেন। তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করেন।

শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। অল্পদিনের মধ্যেই মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ, কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁর জ্ঞান, মেধা ও যোগ্যতায় অল্পদিনেই রাজনীতিতে বিশেষ স্থান দখল করেন। ষাটের দশকে তিনি পাবনা চলে আসেন। শহরের গোপালপুর মহল্লার পুষ্পালয় বাড়ি ক্রয় করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। পাবনা জজকোর্টে যোগ দিয়ে আইন পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৭ সালে পাবনায় সংগঠিত ঐতিহাসিক ভুট্টা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ভুট্টা আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী, আমজাদ হোসেন, আব্দুর রব বগা মিয়া, আমিনুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সাথে গ্রেপ্তার হয়ে পাবনা জেলখানায় নয় মাস বন্দী ছিলেন।

শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ৬৭ সালের ভুট্টা আন্দোলন, ৬৮-৬৯ সালে গণ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি পাবনা আইন কলেজে অবৈতনিকভাবে শিক্ষকতা করতেন। তিনি শহিদ বুলবুল কলেজ (তৎকালীন পাবনা ইসলামীয়া কলেজ) ও পাবনা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এছাড়া পাবনার বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি পাবনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ নির্বাচন এবং ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এডভোকেট আমিন উদ্দিন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) হিসেবে মনোনয়ন পান।

১৯৭০ সালে নির্বাচনকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটের বর্ননা শুনে আজকের প্রজন্ম অবাক হতেই পারেন। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনকাল। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের পতন হলে জেনারেল ইয়াহিয়া খান অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ক্ষমতায় বসেন। জেনারেল ইয়াহিয়া ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সময়ের সামরিক শাসনে রাজনৈতিক দলগুলো তখন অসংগঠিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সাল থেকে কারাবন্দী ছিলেন। ৬৯ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি জেলখানা থেকে মুক্তি পেলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধু যখন পাবনা সফরে এলেন তখন পাবনার অনেক থানাতে আওয়ামী লীগের কমিটি ছিলো না। পাবনার নির্বাচনি আসনগুলোতে প্রার্থী সঙ্কট ছিল। পাবনা অঞ্চলে ৩ টি জাতীয় সংসদ আসন ছিল। উক্ত নির্বাচনে মোঃ আমজাদ হোসেন (পাবনা-ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া), অধ্যাপক আবু সাঈদ (সাঁথিয়া-বেড়া-সুজানগর) ও হোসেন মনসুর (চাটমোহর-ফরিদপুর-শাহজাদপুর) প্রার্থী ছিলেন। প্রাদেশিক পরিষদে ৫ টি আসনে আব্দুর রব বগা মিয়া (পাবনা সদর), আহমেদ রফিক (সাথিয়া-বেড়া আংশিক), আহমেদ তফিজ উদ্দিন (সুজানগর-বেড়া আংশিক), অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সমাজী (চাটমোহর- ফরিদপুর) এবং এডভোকেট আমিন উদ্দিন (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন।

পাবনার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক আমিরুল ইসলাম রাঙা, শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন সম্পর্কে বলেন:

“তাকে নিয়ে লিখতে বসে নিজের কথা বলার আগ্রহ সামাল দিতে পারছি না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় আমি পাবনার ঐতিহ্যবাহী আর এম একাডেমীর ছাত্র। আমি তখন স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৬৯ সালে গণ আন্দোলনের সময় গঠিত সর্বদলীয় স্কুল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পাবনা জেলার যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম। ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসে সংগঠিত সারাদেশব্যাপী স্কুল ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি বই বাতিলের আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও সংগঠক ছিলাম। তৎকালীন সময়ে ৬৭সালে ভুট্টা আন্দোলন থেকে ৬৯ এর গণ আন্দোলনসমূহের সক্রিয় কর্মী হিসেবে মিটিং, মিছিল থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর পাবনা আগমনের প্রচার অভিযান দলের নিয়মিত সদস্য ছিলাম। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত নেতাদের সাথে দেখা, কথা এবং মেশার সুযোগ পেলেও কোনোদিনই এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেবের সাথে কথা হতো না। আমার কাছে কেন যেন উনাকে খুব গুরু-গম্ভীর স্বভাবের মনে হতো। উনার সাথে জীবনে প্রথম কথা হলো ৭০ সালের নির্বাচনে উনি প্রার্থী হবার পর। একদিন সাহস করে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম, চাচা আমি আটঘরিয়ার দেবোত্তরে আপনার নির্বাচনি সভা করতে চাই। উনি সাথে সাথে রাজি হয়ে বললেন, কবে করবে? আমি বললাম আপনি যেদিন সময় দিবেন সেদিনই সভা হবে। উনি তারিখ দিলেন। আমি প্রথম আটঘরিয়ার দেবোত্তরে উনার নির্বাচনি সভার আয়োজক হলাম।

এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেবের নির্বাচনি সভার কথা বলতে গেলে অনেক ঘটনা বলতে হবে। কিছু বলার মতো আর কিছু না বলার মতো। তখন দেবোত্তর এলাকায় উনার পক্ষে কথা বলার মতো লোক ছিল না। আওয়ামী লীগের হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছিলেন আটঘরিয়া ও টেবুনিয়া এলাকায়। তখন দেবোত্তর অঞ্চলের আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব ছিল প্রবল। আটঘরিয়া এবং দেবোত্তর ছিল দ্বিধাবিভক্ত। উনার সভা নিয়ে আটঘরিয়া অঞ্চলের নেতা অভিরামপুর গ্রামে আজিজুর রহমান ফনি এবং লক্ষনপুর গ্রামে আব্দুল আজিজ, টেবুনিয়া অঞ্চলে মনিদহের ইদ্রিস আলী খান এবং রানীগ্রামের মোঃ জয়নুল আবেদীনের সাথে দেখা করলাম। দেবোত্তর অঞ্চলে কয়েকজন তরুণ ও কিশোর ছাড়া কোনো বড় মানুষ পাওয়া যাচ্ছিল না। একদম শেষ মুহূর্তে দেবোত্তরের জাহাঙ্গীর আলম ঘটু এক মহা আবিষ্কার করে দিলেন। উনার কাছে প্রথম জানলাম, বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেন রাধাকান্তপুর গ্রামের রশীদ মৌলভী। যিনি কিনা বঙ্গবন্ধুর সাথে কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেছেন। অবশেষে তাঁকে বললাম এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেবের সভায় থাকতে হবে। উনাকে রাজি করানো হয়। অবশেষে রশীদ মৌলভীকে সেই নির্বাচনি সভার সভাপতিত্ব করানো হয়েছিল।

দেবোত্তর স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাচনি সভার আমি ছিলাম আয়োজক, প্রচারক, উপস্থাপক এবং আলোচক। বঙ্গবন্ধুর বাল্যবন্ধু রশীদ মৌলভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলেন এডভোকেট আমিন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট আমজাদ হোসেন (ছোট আমজাদ) এবং টেবুনিয়ার মোঃ জয়নুল আবেদীন। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা জনসভায় আমার ভূমিকায় এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেব এত খুশি হয়েছিলেন যে, নির্বাচন পরবর্তী যতবার দেখা হয়েছে ততবার সেই মিটিংয়ের কথা বলেছেন। বিশেষ করে আমার বক্তৃতা উনার খুব ভালো লেগেছিল। অল্পতেই আমি যেমন উনার মন জয় করলাম তেমন উনিও এলাকার মানুষের মন জয় করে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে উনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল জামায়াতে ইসলামী’র মাওলানা খোদা বক্স খান (দাঁড়ি পাল্লা), ন্যাপের আব্দুল হালিম চৌধুরী (কুঁড়েঘর) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মোঃ ইউসুফ আলী (বাঘ মার্কা)।”

১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর এডভোকেট আমিন উদ্দিন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হলেন। নির্বাচনের পাঁচদিন পর ২২ ডিসেম্বর সাঁথিয়া-বেড়া আসন থেকে নির্বাচিত এমপিএ আহমেদ রফিক পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর মহল্লায় তাঁর বাসভবনের সামনে নক্সালদের হাতে খুন হলেন। ২৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবনায় আসলেন। পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে আহমেদ রফিক স্মরণে শোকসভা করলেন। নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য আহমেদ রফিক হত্যাকাণ্ডের তিন মাসের মধ্যে নিহত হলেন এডভোকেট আমিন উদ্দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে পাবনা শহরের বাসা থেকে পাকিস্তানি আর্মিরা উনাকে গ্রেপ্তার করলেন। ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে আর্মিরা এডভোকেট আমিন উদ্দিনকে বিসিক শিল্প এলাকায় হত্যা করলেন। এর এক সপ্তাহ পরে ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নব-নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) আমজাদ হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। নির্বাচনের তিন মাসের মধ্যে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের তিন দিকপাল আহমেদ রফিক, এডভোকেট আমিন উদ্দিন এবং আমজাদ হোসেন এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন। উল্লেখ্য মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাবনায় গঠিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদ। সাত সদস্য বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদে আমজাদ হোসেন আহবায়ক এবং এডভোকেট আমিন উদ্দিন সদস্য হন।

এডভোকেট আমিন উদ্দিন ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী বাঘাইল গ্রামের হাজী নূরুল ইসলামের কন্যা সাহারা বানুকে বিয়ে করেন। এই প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ মাত্র ৫০ বছর বয়সে এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা রেখে যান। বড় ছেলে শামসুল আরেফিন ফিরোজু, মেজো ছেলে ফরিদ সাইফুল আরেফিন ও ছোট ছেলে ফারুক মোহাম্মদ সাদরুল আমিন।

#

ShareTweetShare

Related Posts

মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র করে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করতে পারবেন না: হাবিব
আটঘরিয়া

মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র করে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করতে পারবেন না: হাবিব

জুন ১, ২০২৫
মধ্যরাতে আবাসিক হোটেলে যৌথ অভিযান, পাঁচ যৌনকর্মী ও চার কর্মচারীর কারাদন্ড
অপরাধ

মধ্যরাতে আবাসিক হোটেলে যৌথ অভিযান, পাঁচ যৌনকর্মী ও চার কর্মচারীর কারাদন্ড

মে ৩১, ২০২৫
পাবনায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
পাবনা

পাবনায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

মে ৩০, ২০২৫
পাবনায় সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্প, চিকিৎসা পেল অসহায় ও দুস্থ রোগী
জীবনযাপন

পাবনায় সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্প, চিকিৎসা পেল অসহায় ও দুস্থ রোগী

মে ২৮, ২০২৫
বেড়ায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ; নির্বিকার প্রশাসন
অপরাধ

বেড়ায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ; নির্বিকার প্রশাসন

মে ২৬, ২০২৫
পাবনা স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল থেকে মুছে গেলো মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, জেলাজুড়ে ক্ষোভ
পাবনা

পাবনা স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল থেকে মুছে গেলো মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, জেলাজুড়ে ক্ষোভ

মে ২৪, ২০২৫
Next Post
পাবনা স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল থেকে মুছে গেলো মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, জেলাজুড়ে ক্ষোভ

পাবনা স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল থেকে মুছে গেলো মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, জেলাজুড়ে ক্ষোভ

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • সর্বশেষ
  • পাবনা
  • অপরাধ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • পরিবেশ
  • প্রযুক্তি
  • ক্যাম্পাস
  • সাহিত্য-সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • মতামত
  • ছবির বার্তা
  • ভিডিও বার্তা
স্বত্ব © ২০২৩ চলতি বার্তা | সম্পাদক ও প্রকাশক : এহসান আলী বিশ্বাস
ইমেইল: choltibarta.news@gmail.com
যোগাযোগ:
মাসুদ রানা, বার্তা সম্পাদক ও বিজ্ঞাপন, +8801740-934683
জাহিদুল ইসলাম, নিউজ ও মাল্টিমিডিয়া, +8801772-748546
অস্থায়ী কার্যালয়: ইউসুফ বিশ্বাস মার্কেট, ৩৫৬ সোনাপট্টি, পাবনা।
Design & Developed by Interweb

No Result
View All Result
  • সর্বশেষ
  • পাবনা
    • পাবনা সদর
    • ঈশ্বরদী
    • আটঘরিয়া
    • চাটমোহর
    • ভাঙ্গুড়া
    • ফরিদপুর
    • বেড়া
    • সাঁথিয়া
    • সুজানগর
  • অপরাধ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • পরিবেশ
  • প্রযুক্তি
  • ক্যাম্পাস
  • সাহিত্য-সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • মতামত
  • আরো
    • ছবির বার্তা
    • ভিডিও বার্তা

স্বত্ব © ২০২৩ চলতি বার্তা | সম্পাদক ও প্রকাশক: এহসান আলী বিশ্বাস
যোগাযোগ:
অস্থায়ী কার্যালয়: ইউসুফ বিশ্বাস মার্কেট, ৩৫৬ সোনাপট্টি, পাবনা। |
Design & Developed by Interweb

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In