
ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন এবং ১২টি ছাগল দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। বুধবার দুপুর বারোটার দিকে সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসনা গ্রামের আব্দুর রহমান কাজির বাড়িতে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পরে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জিয়ারুল কাজি। আগুনে পুড়ে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩৫) মারা যান। এছাড়া তার পরিবারের ১২টি ছাগলও পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। নিহত হাজেরা তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, এসব পরিবারের বাড়ির ছাউনি ও বেড়া টিনের হওয়ায় পুরো ঘরই পুড়ে গেছে। বাড়ির আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় হাজেরা বেগম তার শিশু সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আগুনের ধোঁয়া ও তাপে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রহমান কাজি, তার দুই ছেলে রকিব কাজি ও রতন কাজি, মাহবুর কাজি, জিয়ারুল কাজি ও মাহবুব রহমান।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ মীর আমিরুল ইসলাম জানান, ‘আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে।