পাবনায় সরকারি ভাবে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগে লাইসেন্সধারী ঠিকাদার সাবেক বিএনপি ও বর্তমানে গণ অধিকার পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার খান জুয়েল সহ স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসরদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সদ্যরা।
১৪ নভেম্বর (বৃহঃবার) দুপুরে আইনমন্ত্রনালয় কর্তৃক ত্রæটিপূর্ণ নিয়োগের বাতিলের দাবিতে আদালতচত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি আদালতচত্বর থেকে বের হয়ে শহর প্রদর্ক্ষিন করেন। পরে আন্দোলনকারীরা পাবনা প্রেসক্লাবে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা আইনজীবী বার সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মলয় কুমার দাস, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, জেলা বিএনপির নেতা আব্দুল মান্নœান মাস্টারসহ পাবনা বারে কর্মরত প্রবীণ ও নবীণ আইনজী সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মলয় কুমার দাস রায় তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়া পাবনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের আজ অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দোসরদের নাম সংযুক্ত করে পাবনা আদালতে (পিপি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই নিয়োগ কাজের সহায়ক হিসাবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জেলা আইনজীবী বার সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদকের যোগসাজোস রয়েছে। এই নিয়োগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে সাবেক সংসদ জুলাই-আগস্ট ছাত্র হত্যা মামলার আসামী গোলাম ফারুক প্রিন্সের বন্ধু বিশিষ্ঠ ঠিকাদার
অনিয়মিত আইনজীবী গোলাম সরোয়ার খান জুয়েলের নাম দেয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট জুয়েল সাবেক বিএনপি কর্মী ও বর্তমানে গণ অধিকার পরিষদের পাবনা জেলার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তাই নয় এবারের নিয়োগে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের বিভিন্ন পদে থাকা স্বৈরাচারের দোসর অ্যাডভোকেট সালমা পারভীন রুনা, ফারজানা পারভীন, আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান ও বোরহান উদ্দিনকে বারের আইন সহায়ক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে আমরা যারা বিএনপি ও জায়াতের আইনজীবী রয়েছি তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগে কোন ধরনের অভিজ্ঞতা বা জ্যোাষ্ঠতার বিচার বিশ্লেষণ করা হয়নি। এখানে বৈষম্য ও ষড়যন্ত্র করে সুবিধা নিয়ে ফ্যাসিস সরকারের দোসরদের বাঁচাতে একটি চক্র দলের নির্দেশনা অমান্য করে এই কাজ করছেন। তাই এই ত্রæটিপূর্ন নিয়োগ বাতিলসহ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। একই সাথে পাবনা বারে কর্মরত অভিজ্ঞ ও জ্যোষ্ঠ
আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে পূণরায় নিয়োগ দেয়ার আহবান জানান আইন মন্ত্রনালয়ের কাছে। এই নিয়াগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত পাবনা বারে কোন পাবলিক প্রসিকিউটরকে কর্ম পরিচালনা করতে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী দেয়া হয়।