পাবনা জেলার চারটি থানার কেন্দ্রস্থল কাশিনাথপুর। ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে কাশিনাথপুর ও বেড়া সিএনবি বাজারে সওজের জায়গা বারবার উচ্ছেদ করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা তা আবার দখল করছে। এ সমস্ত সওজের জায়গা একাধিক বার উচ্ছেদ করা হলেও একমাস পরেই আবার গড়ে ওঠে দোকান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জায়গা বারবার উচ্ছেদ করা হলেও স্থানীয় কিছু লোকের যোগসাজশ্যে পুনরায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকান পাঠ। সওজের জায়গা উচ্ছেদ করা পরে দোকানিরা বর্তমানে রাস্তায় এসে বসেছেন।শুধু সওজের জায়গা নয় কাশিনাথপুরে হাট বসার কারনে ফুটপাত সংকুচিত হয়েছে। রাস্তার ওপরে গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন জিনিস কেনা-বেচার জায়গা। এতে জনদুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারী ও শিক্ষার্থী। কাশিনাথপুর কয়কটি উপজেলার কেন্দ্রস্থল হওয়া এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা। এদিকে গত ৩ মার্চ কাশিনাথপুর গোলচত্বর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ হওয়া জায়গা গড়ে উঠেছে মাইক্রোস্ট্যান্ড।
বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হওয়ার পরও আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সময় লাগেনা বেশিদিন। সড়ক পরিবহন এর তথ্য বলছে গত ১০ বছরে পাঁচ বার এ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানের দুই তিনমাসের মধ্যে প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে এ গুরত্বপূর্ণ জায়গা।
গুরুত্বপূর্ণ এ দুই অঞ্চলে সপ্তাহে দুইবার বসে হাট। কাশিনাথপুরে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার এবং বেড়া চতুর বাজারে শনি মঙ্গলবার বসে হাট। হাটের দিনে আরো যেন বেড়ে যায় জনদূর্ভোগ। মূল সড়ক দখল করে বসে হাটবাজার সহ সিএনজি মাইক্রো বাসষ্ট্যান্ড এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পাবনা এক্সপেস এর একজন স্টাফ জানান – কাশিনাথপুর ও বেড়া এ দুই জায়গায় হাটের দিনে যানজটের কারণে আমরা সময়মতো গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে পারিনা । তারা সওজের জায়গা দখল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে স্থানীয় ভাবে একটা সমাধান চান।
গত মার্চে কাশিনাথপুর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এত প্রায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় এতে করে সাময়িক যানজট কমে। এদিকে বেড়া সিএনবিতে ২০১৯ সালের ৩১জুলাই প্রায় দেড় হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকেরা বলেন ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক এই দুটি স্থানে এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। তবে হাটবার গুলোতে তা রুপ নেয় ভয়াবহ অবস্থায়। এতে করে শুধু পথচারী বা গাড়ি নয় সময় বিড়ম্বনা হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের। কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের শিক্ষার্থী মুন জানান হাটবার গুলোতে অনেক যানজট থাকায় আমাদের সময়মত স্কুলে যেতে অসুবিধা হয়।
সওজের পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলি মনসুর আহমেদ বলেন বেদখলের জায়গা আবার উচ্ছেদ করা হবে। উদ্ধারকৃত জায়গা স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করতে বাগান করাসহ বিভন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।