পাবনা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধু বালাকে হঠাৎ প্রশাসনিক বদলি করা হয়েছে। তাকে পুলিশের শিল্পাঞ্চলে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে পুলিশের হেডকোয়ার্টারের এডিশনাল আইজি মো: কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বদলি আদেশ দেয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধুবালাকে বদলি করে বাংলাদেশ পুলিশের শিল্পাঞ্চলে পদায়ন করা হলো। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের লক্ষ্যে আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ১৫ অক্টোবর তাকে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
এর আগের কর্মস্থল বগুড়ার ধুনোট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২২ সালের ২ আগস্টে ওসি কৃপা সিন্ধুবালার বিরুদ্ধে এক কিশোরী ধর্ষণের আলামত নষ্টের অভিযোগ ওঠে। এর বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা কৃপা সিন্ধুবালার বিরুদ্ধে প্রথমে বগুড়া পুলিশ সুপার ও পরে পিআইবির নিকট অভিযোগ দেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে পিআইবি তদন্তে নামলে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। ধর্ষণ মামলার আসামির সাথে যোগসাজশ করে অর্থের বিনিময়ে ধর্ষণের প্রমাণমূলক ভিডিও সহ সকল আলামত নষ্টের বিষয়ে আদালতে আসামি স্বীকারোক্তি দেন। এরপর পুলিশের সদর দপ্তরে ওসি কৃপা সিন্ধুবালার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিআইবি। এরপরও বহাল তবিয়তে সে পাবনা থানায় দায়িত্ব পালন করতে থাকেন, তার বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নিতে দেখা না যায়নি। উলটো মামলার চার্জশিটে ওসি কৃপা সিন্ধুবালার নাম বাদ দিতে চাপ দেয়া হয়। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর মা পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরই কৃপা সিন্ধুবালার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ বদলির আদেশ দেয়া হয়। ওসি কৃপা সিন্ধুবালার বিরুদ্ধে হঠাৎ এ প্রশাসনিক বদলির ব্যাপারটি এঘটনা সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বগুড়ার ধনুট থানার দায়িত্বে ছিলেন। পরে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে পাবনা জেলায় পাঠানো হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিয়মিত প্রশাসনিক বদলি হয়েছে। এর বেশি কিছু না।
#
জাহিদুল ইসলাম/পাবনা/চলতিবার্তা