নিজের মামাদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখে চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন পাবনার সুজানগর পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জায়দুল হক জনি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। জায়দুল হক জনি সুজানগর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধার সংসদ সন্তান কমান্ড, সুজানগর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক,।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বড় মামা মৃত আব্দুস সালাম স্বপরিবারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর মেজ মামা আব্দুর সবুর রাজা তার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ভোগদখল করতে থাকেন। পরবর্তীতে অন্যান্য ভাই-বোন মৃত বড় ভাইয়ের সম্পত্তির ভাগ চাইলে বিরোধ শুরু হয়। ওয়ারিশ সূত্রে কাউকে পাওনা না দিয়ে নানা অপকৌশল শুরু করেন আব্দুর সবুর রাজা। একপর্যায়ে মেজ মামা আমার সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ ও কথাবার্তা শুরু করে। গত ৯ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিজ, এসি, জেনেটার, পানির পাম্প ও জমিজমার দলিল আমার বাড়িতে রাখতে বলে। তখন বলে- বাড়িঘর ভেঙে জিনিসপত্রগুলো বাহির করা হয়েছে, কোথাও রাখার জায়গা নেই। আমি সরল মনে মামার কথায় বিশ্বাস করে সেগুলো রেখেছিলাম। কিন্তু ১৩ আগস্ট থানায় সেইসব মালামাল চুরি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয় এবং গ্রেফতার করানো হয়।
তিনি বলেন, ‘থানায় নেয়ার পরও মেজ মামা আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল যে- ‘মালামালগুলো আমার ছোট মামা চুরি করে আমার বাড়িতে রেখেছে’- এমনটা বললে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আমি অস্বীকার করায় আমাকে সেই মালামালের চুরির মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়। আমার মেজ মামা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই এবং ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর ছোট মামা রেজয়ান খোকন ও শফিকুল ইসলাম শফিসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।