
ক্লাস স্বল্পতা ও মিডটার্ম পরীক্ষার জন্য পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের ফুটবল টুর্নামেন্টের অনুমতি না দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা দশটার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গেল পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ম্যাগাজিন বের করার জন্য ফি নেয়া হয়েছে। অথচ তাদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কোন অনুষ্ঠান করা হয়না। বের করা হয় না কোন ম্যাগাজিন। গেল দু’দিন আগে শিক্ষার্থীরা একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের অনুমতি নিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গেলে তাদের অনুমিত দেয়া হয়নি।
এরই প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শণসহ সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করা হয়। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও তারা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়েই তারা এই কর্মসূচী করেছে। এতেও কাজ না হলে পরবর্তীকে লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতিকুর রহমান জানান, সম্প্রতি বড় পরিসরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। গত রোববার ছেলেদের একটি দল আমার কাছে এসে ফুটবল টুর্নামেন্টের অনুমতি চেয়েছিল। সামনে নির্বাচনের কারণে দেড় মাস আগেই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। গত ১৫ দিন আগে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। সামনে ৯ অক্টোবর মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু হবে। এই সময়ে ফটুবল টুর্নামেন্টের অনুমতি দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বাদ রেখে মাঠে চলে যাবে। যা হবে সামনের পরীক্ষার জন্য খারাপ। সার্বিক বিষয়গুলো মাথায় নিয়েই তাদের এই আবেদনের অনুমতি দেয়া হয়নি। আর এই কারনেই তারা আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।
ম্যাগাজিন বের করার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন, ২০০৪ সালের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ম্যাগাজিন বের করতে গেলে ছাত্র সংসদের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। যে কারণে ম্যাগাজিন বের করাটা কিছুটা সমস্যা আছে। ছাত্র সংসদ কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ম্যাগাজিন বের করায় কোন বাধা থাকবে না। এই মুহুর্তে ছাত্র সংসদের অনুমোদন ছাড়া কোন কিছু করতে গেলে আমি অডিটে আটকে যাবো।