পাবনার ঈশ্বরদী শহরের অরণকোলা এলাকার আগুনে পুড়ে বসতঘরসহ ৫টি হত-দরিদ্র পরিবারের ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। আগুনে শুধু তাদের ঘরই পোড়েনি। আগুনে নিভে গেছে পরিবারগুলোর সব স্বপ্ন।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী, আগুনে কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ০৬ নাম্বার ওয়ার্ডের অরণকোলা গরু হাট সংলগ্ন বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় দিনমজুর রনি, জনি, সুজনসহ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। পেশায় তারা দিনমজুর। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুমানিক ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে ৫টি বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় স্থানীয় লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হতদরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালক জনি হোসেন জানান, আমরা কয়েকজন হতদরিদ্র। এখানে কেউ রিকশা চালায়, কেউ ধানের খোলায় কাজ করে, অনেক কষ্ট করে পরিশ্রম করে জীবনযাপন করি। আগুনে সবার ঘরের সব জিনিষপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু এখন আর আমাদের নেই! আমাদের খোলা আকাশের নিয়ে পরিবার নিয়ে থাকতে হবে।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রিডার মকলেছুর রহমান জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সুত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে গেছে।
ঈশ্বরদী পৌরসভার ০৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাশেম জানান, আমি শুনেছি, হতদরিদ্র ৫ পরিবারের বসতবাড়িসহ ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি ঈশ্বরদী পৌরসভার মাধ্যমে তাদের পরিবারে সহযোগীতার চেষ্টা করব।