নারীকে নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় শেখ শাহানুর রহমান (৩২) নামের এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি- রাজনৈতিক বিরোধ থেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের চন্দ্রিপুর রেল স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ শাহানুর রহমান পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর বাজার এলাকার আবু বক্কর শেখের ছেলে। তিনি আহম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ।
এঘটনায় মানিক হোসেন (৫০) ও মনির হোসেন (৩২) নামের দুইজনকে আটক করেছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ। তারা চন্দ্রিপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় কৃষি কাজ করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে একটি মেয়ে নিয়ে ঝামেলা হয়। এসময় মানিক ও মনিরসহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাদের সাথে নিহত শাহানুরের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহানুর মারমুখি হলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নিহতের স্বজনদের দাবি- ‘এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের (যুবলীগ) মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের সূত্রে সকালে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছে। তাকে পুর্বপরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে।’
এব্যাপারে সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ বলেন, ‘কে বা কারা মেরেছে নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না, তবে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ১৪-১৫ জনের একটি গ্রুপ তাকে ওই এলাকায় ডেকে নিয়ে বাড়ির মধ্যে আটকিয়ে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা শিগগিরই দলীয় ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।