
উপজেলার রূপপুরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের শক্তির ভবিষ্যৎ এবং দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
নির্মাণ ও প্রকল্পের ইতিহাস: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে, যখন বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ার সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে।
প্রথম ইউনিটের কাজ শুরু করে ২০২৪ সালে এবং পরবর্তী ইউনিটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার হবে এবং এটি পুরো জাতির বিদ্যুৎ চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অত্যন্ত নিরাপদ এবং আধুনিক, যেখানে পাঁচটি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশের শক্তি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এবং দেশের বিদ্যুৎ খাতের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে।
অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে, বিশেষ করে শিল্প খাতের জন্য। একই সাথে, এই প্রকল্পটি পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে কম কার্বন নিঃসরণ করবে।
এই তিনটি স্থাপনা—পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালনশাহ সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র—বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক অবদানকে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করে। এসব স্থাপনা বাংলাদেশের প্রগতির প্রতীক এবং এগুলি দেশীয় জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।