রাতে দোকানের টঙে নারী নিয়ে প্রবেশ করতে না দেয়ায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চায়ের দোকান ভাঙচুর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বুধবার (০৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ফাতেমা স্টোরের মালিক ভুক্তভোগী বাচ্চু মিয়া। এর আগে গত সোমবার (০৫ জুন) রাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রেইন একটি নারীকে সাথে নিয়ে ফাতেমা স্টোর দোকানের পাশে থাকা ভাসমান টঙে প্রবেশ করতে চায়। এ সময় টঙে বসে থাকা কয়েকজন স্থানীয় কাস্টমার রাত হয়ে গেছে বলে নারী নিয়ে টঙে না আসার জন্য অনুরোধ করেন।
এ কথাতে মেহেদী হাসান রেইন রাগান্বিত হয়ে কাস্টমারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং দোকান এখানে কীভাবে থাকে সেটা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী নিয়ে এসে দোকানের ওই টঙ ভাঙচুর করেন। একই সময়ে সে দোকানের ক্যারাম বোর্ডের গুটিগুলো নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সে এবং তার সাথে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং এখানে দোকান কীভাবে চালায় সেটা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার এবং এর ক্ষতিপূরণ দাবি করে ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া আরও অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা এর আগেও বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থাকা দোকানীদের মারধর এবং দুর্ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রেইনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে ওই দোকানদারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাদের নিয়ে বসে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, বিকেলে আমি একটা অভিযোগ পেয়েছি। তারপর আমি অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী দুইজনকেই আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমার অফিসে ডেকেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারবো।’