বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর আদর্শের লোকজন বাবা-মা ভাই-বোনের সঙ্গে কিছু লাগলে তাদের টুকরো করে দিতে পারে। কিন্তু কোরআন শরিফে অগ্নিসংযোগ করতে পারে না। মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র করে বিএনপির জনপ্রিয়তা নস্যাৎ করতে পারবেন না। প্রশাসনকে বলব দ্রুত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে আটঘারিয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শহীদ জিয়াউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল। আজকে তারাই বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে বেরাচ্ছে। জামায়াতের পাবনা জেলা আমীর বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করেছে। অথচ বিএনপি জামায়াত নেতাদের এতোদিন কোলের মধ্যে করে রেখেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি এদের মন্ত্রীত্বও দিয়েছিল।
বিএনপি নেতা হাবিব আরোও বলেন, দেবোত্তর কলেজে তারা ফরম তুলতে গেলে সামান্য ধাক্কা লাগে। ইউএনওর ডাকে সারা দিয়ে বিএনপি গিয়েছিল। কিন্তু তারা যায়নি।এরপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। তারা বিপুলসংখ্যক গাড়ী ও অফিস ভাঙচুর করেছে।
আমাদের কোন নেতাকর্মী বাঁশ হাতে নিয়েছে, বোমা মেরেছে ফুটেজ দেখান তো। আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছিলাম, যে জামায়াতের অফিসের দিকে তাকায়ো না। চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যাবে। পাবনার জামায়াত নেতারা পরদিন সকালে এসে আগুন দেওয়ার মিথ্যা নাটক সাজায়। আগুন লাগলে ওনারা ফায়ার সার্ভিসকে বলেনি কেন। তাদের অফিস কি লাইব্রেরি যে সেখানে কোরআন থাকবে। আসলে তারা মিথ্যাচার করেছে। তারা কি ক্ষমতায় চলে গেছে যে তাদের এতো দাম্ভিকতা।
এদেশের মানুষ কখনো তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে দিবে না। আমাদের বিরুদ্ধে যতই অভিযোগ করেন, কেউ বিশ্বাস করবে না। যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে নামাজ হবে না, তাই আমি বলেছিলাম আটঘরিয়ার কোন জামায়াতের লোক নামাজ ও আযান দিতে পারবে না।
১৬ বছরে আপনারা হাসিনার বিরুদ্ধে কোন দিন আন্দোলনে একটি নোখ হারিয়েছেন দেখাতে পারবেন?। ফিলিস্তিনিদের নির্যাতনের মত আটঘরিয়াতে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছেন।
জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, এটা করে করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সৌদি বাদশা তাকিয়েছিল যে বাংলাদেশ কি দেয়। তখন মরুভূমিতে জিয়াউর রহমান নিম গাছ লাগিয়ে তাক লাগিয়েছেন। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে অপপ্রচার করত।
আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান রানার সভাপতিত্বে ও আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পিপি এডভোকেট শাহজাহান আলী, আটঘরিয়া উপজেলার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আছির উদ্দিন, আটঘরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি আজহার আলী খান, আটঘরিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, আটঘরিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন মঞ্জু সহ আটঘরিয়া উপজেলার বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ।
