পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের কর্মীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে প্রতিন্দ্বন্দ্বি প্রার্থী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মে) জেলা রির্টানিং অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খিদিরপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের কর্মী হারুলপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলী খান।
এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল, তার ভাতিজা রনি ও হারুলপাড়া এলাকার আরিফসহ তার দলবল প্রকাশ্যে ইউনুছ আলী খানকে মারধর করেন এবং তানভীর ইসলামের পক্ষে নির্বাচনে কাজ না করার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে ইউনুছ আলী খান বলেন, খিদিরপুর বাজারে সাইফুল ইসলাম কামালসহ ১০ থেকে ১২ জন অতর্কিত আমাকে কিল, ঘুষি মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তানভীর ইসলামের পক্ষে কাজ না করা জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। শুধু তাই নয়, উপজেলা নির্বাচনে তানভীর ইসলামের পক্ষে কাজ করলে আমাকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, আমার চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নান। তারই আপন খালাতো ভাই হলো ইউনুস। তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ওইদিন বাজারে মান্নান ভাইয়ের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারধর বা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাকে এখন নিজের কর্মী দাবি করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর। এসব অপপ্রচার। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, আমার কর্মী সমর্থকদের উপর একাধিক হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী রিটানিং অফিসার নাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্ব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২৯ মে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী ও পাবনা সদর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।