এক সময়ের অতঙ্কের জনপদ ঢালারচরে সাধারন মানুষ যেখানে দিনের বেলাতেই আসতে ভয় পেতো। সেই জনপদের চিত্র এখন পাল্টে গেছে। বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেই ঢালারচরে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযো স্থাপন হয়েছে। নতুন নতুন সড়ক নির্মান হয়েছে। রাতের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে আলোর ছোঁয়া লেগেছে। নতুন ট্রেন লাইন স্থাপনসহ সড়ক নির্মানের ফলে এই অবহেলিত জনপদের মানুষের ব্যবসা বানিজ্যসহ যোগাযোগ স্থাপনে এসেছে আমুল পরিবর্তন। তাইতো এখানকার সাধারন মানুষকে আর অন্ধকারে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়না। অন্ধকারাচ্ছন্ন আতঙ্কের জনপদ ঢালারচর এখন আলোকিত গ্রাম।
১৪ অক্টোবর (শনবিার) সন্ধ্যায় ঢালারচর ইউনিয়নের স্টেশন মাঠ প্রাঙ্গণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি পাবনা জলো আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পাবনা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান উজ্জ্বল সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে এসব কথা বলেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষদের সাথে নিয়ে উঠান বৈঠক করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদশে বিনির্মানে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছেন তারা।
ঢালারচর ইউনয়িন আওয়ামী লীগরে সাধারন সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন ব্যাপারীর সভাপতিত্বে উঠান বঠৈকে বক্তব্য রাখনে, আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগরে সাধারন সম্পাদক বেড়া উপজেলা পরষিদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল হক বাবু, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাগরকান্দি ইউনিয়ন পরষিদরে চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন চৌধুরী, কাজী আলতাব হোসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মোল্লা, মাসুমদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়োরম্যান মিরোজ হোসনে, সাবেক চেয়ারম্যান আবু হাসেম উজ্বল, জালাল উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসনে তোফা, মানকিহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফি সহ স্থানীয় দলরে নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনসুর আহমেদ ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মমিনুর রহমান।
বক্তারা বলনে, সামনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুিষ্ঠত হবে। সেই নির্বাচনকে বানচাল করতে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সাধারন মানুষকে মিথ্যা তথ্যদিয়ে ভুল বুঝিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এই প্রত্যান্ত ঢালারচর ইউনয়িন যমুনা ও পদ্মা নদী তীরবর্তী একটি ইউনিয়ন। এই অঞ্চলের সাধারন মানুষ কখনো ভাবেনি এই জনপদে এই সল্প সময়ে জীবনযাত্রার মানে এতো পরিবর্তন হবে। বর্তমান সরকাররে সময় এই চর অঞ্চলে রেল লাইন স্থাপণ হয়েছে। পাকা সড়ক নির্মান হয়েছে। কৃষিসহ ব্যবসা বানিজ্যে ব্যপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এই ঢালারচরে এক সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলোনা এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে আলো জ্বলছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন ঢালারচর এখন আলোকিত গ্রাম। তাই দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে বর্তমান সরকাররে পক্ষে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও শেখ হাসিনার উন্নয়নে ধারা অব্যহত রাখতে নৌকার ভোট দেয়ার আহবান জানানো হয়। বর্তমান সরকার দেশে যে সকল মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো এর বেশিরভাই বাস্তবায়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন পক্রিয়া শেষে এখন সরকার স্মার্ট বাংলাদশে গঠনের জন্য কাজ করছেন। তাই তৃণমূল দলে নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মাঠে কাজ করার কথা বলনে। আগামী নির্বাচনে পাবনা সকল সংসদীয় আসন সহ ( সুজানগর-বেড়া আংশকি ) পাবনা-২ আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহবান জানো হয়।
উঠান বৈঠকে দলের নেতাকর্মীরা বর্তমান সংসদ সদস্যের বিষোদগার করে বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনা। তার সংসদীয় আসনে তিনি গুটি কয়েক মানুষকে সাথে নিয়ে চলাচল করেন। সাধারন ভোটার ও নেতাকর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ নেই বল্লেই চলে। এমন সংসদ সদস্য দিয়ে এবারের নির্বাচন করা দলের জন্য হুমকি হতে পারে। মানুষ নৌকায় ভোট দিতে চায় তবে দায়িত্বরত জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন প্রত্যাশা করেন তারা। উঠান বৈঠকে ইউনিয়নের কয়েক হাজার দলের নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারা উপস্থিত ছিলেন।